Header Ads

সচিবালয় তারকাদের উৎপাতে অতিষ্ট!



গাছ লাগালে তার ফল খেতে কে না চায়! নির্বাচনের আগে তারকাদের যে সমাগম দেখা গিয়েছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রচার প্রচারণায়। তারই ফল পেতে চাচ্ছেন তারকারা। কিন্তু কী ফল? যা নিয়ে রীতিমত অতিষ্ট এখন মন্ত্রণালয়, বিরক্ত আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা!  

প্রতিদিন তারকাদের উৎপাত পেতে হচ্ছে সচিব- মন্ত্রীদের। এই যেমন একজন পরন্ত অভিনেত্রী নব্য আওয়ামী লীগার হয়েছেন, এখন আর অভিনয় করেন না। তাঁর দেখা মেলে সচিবালয়ে। একদল উঠতি মডেলদের নিয়ে নিয়মিত সচিবালয়ে যাতায়াত করছেন। সেখানে গিয়ে দেন দরবার করছেন, একে কাজ দিতে হবে ‘ভাইয়া’, এই কাজটা আমার চাই ‘ভাইয়া’। শোনা যাচ্ছে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার হয়ে কাজ করছেন তিনি। এই প্রতিষ্ঠানটিকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার মধ্যস্থতার দায়িত্ব নিয়েছেন।

শুধু তিনিই নন, নিজের কর্মস্থল অভিনয় ছেড়ে এখন অনেকেই নিয়মিত ছুটছেন সরকারী অফিস কিংবা মন্ত্রী- এমপিদের বাড়িতে। এমন সব তারকা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী ও দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে উঠবস করার সুযোগ পেয়েছেন, সে সুবাধে তাদের ক্ষমতা যেন দলীয় কর্মীদের চেয়েও কয়েকগুন বেড়ে গেছে।

সরকারী দলে যারা নিজেদের ভিড়াতে সক্ষম হয়েছেন, এখন তাদের পেছনে লাইন লাগিয়েছে বিভিন্ন এজেন্সিও। এই সব তারকারাই ‘ডিল’ বা ‘দালালি’ করতে চাচ্ছেন কাজগুলোর ব্যাপারে। যেসব তারকাদের নিজ কর্মক্ষেত্রে কোন কাজ নেই, তাতে কিছু যায় আসেও না। তাদের তৎপরতাটাই একটু বেশি দেখা যাচ্ছে।

সচিবালয় পা দিলেই এখন সাজগোজ করা কোন না কোন তারকার দেখা মেলে। তাদের কাজ চাই। তাদের পরিচিতজনদের কাজ দিতে হবে বলে আবদার করেন। অনেক তারকা নাকি সচিবালয়ে কাজের হিসেবও চায় বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে। যাদের উথান হয়েছে গান কিংবা নাটক- সিনেমার মাধ্যমে। তারা এখন সেইসব জায়গা ছেড়ে ভিড় জমাচ্ছেন সরকারী কর্মক্ষেত্রে। সচিবালয়ের কর্তাব্যাক্তিরা মুখের উপর কিছু বলতে পারছেন না সম্মান দেখিয়ে। আবার অনেকে মনে করছেন হয়তো তাদের যাতায়াত প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছি, কিছু বললে প্রধানমন্ত্রী মন:ক্ষুন্ন হতে পারেন।

সচিবালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘অচিরেই এইসব তারকাদের কড়া কথা বলে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর কানে যদি এই উৎপাতের কথা যায়। সেটা যে তারকাদের জন্য হিতে বিপরীত হবে সেটা তাদের বোঝা উচিত।’

ভালো লেগেছে দলের প্রচারণায় এসেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তারকারা নির্বাচনের আগে কোন পক্ষের হয়ে প্রচারণা করেন। নির্বাচন শেষে নিজ কর্মক্ষেত্রে মন দেন। কিন্তু এই যে ক্ষমতায় আসার পরে সরকারী কাজে বাধার সৃষ্টি করা, ফায়দা লুটার চেষ্টা এটা কেমন কথা! সেটা যেন প্রশাসনের নতুন ব্যাধিতে পরিণত না হয়। অনেক তারকা, প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের আপ্যায়ন পেয়ে তা ক্ষমতায় রুপান্তরিত করেছেন। এমন কথা প্রধানমন্ত্রীর কানে গেলে তাঁর দরজা বন্ধ হতে সময় লাগবে না। প্রধানমন্ত্রী এমন সব দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনেক আগেই যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।

তাইতো পরামর্শ, নিজের কর্মক্ষেত্রে মন দেন। রাজনীতি থেকে ফায়দা লুটার ধান্দা বাদ দিন। নিজের সম্মান নিজের কাছে রাখুন। একদিন , দুইদিন, তিনদিন- সরকারী মানুষকে অতিষ্ট করলে কিন্তু কঠিন কথা শুনতে হবে। সেটাও প্রকাশ পেয়ে যাবে।

No comments

Powered by Blogger.